Back

র‍্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ।র‍্যাগিং কে না বলুন।

Posted on March 25, 2022, 4:26 p.m.
EAP
র‍্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ।র‍্যাগিং কে না বলুন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি সাফল্যের সিঁড়ি হিসেবে কাজ করে।হলে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য সৌভাগ্য এবং লাইব্রেরি পড়াশোনার একটি সেরা জায়গা।

কিন্তু বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যাকয়ে র‍্যাগিং এর নামে শিক্ষার্থীদের উপর শারিরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে।ম্যানার শিখানোর নামে শিক্ষার্থীদের উপর নানা-ভাবে অত্যাচার করে হয়ে থাকে।এতে অরে শিক্ষার্থীদের শারিরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরী হয়।

র‍্যাগিং এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এবং নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নেগেটিভ ধারনা জন্মায়।র‍্যাগিং এর জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় দারুনভাবে ব্যাহত হয়।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‍্যাগিং এর বিপরীতে অবস্থান করলেও র‍্যাগিং এর ঘটনে ঘটেই চলছে।

দিন দিন র‍্যাগিং এক আতংকের নাম হয়ে উঠেছে।এই র‍্যাগিং প্রথা চলতে থাকলে সামনের  প্রজন্মের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার  ভরসা দিন দিন কমে যাবে।এই প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতেই হবে, অন্যথায় বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়বে শিক্ষার্থীরা।র‍্যাগিং নামক এই ভয়াবহ কালচার বন্ধ করা অতীব জরুরী।

আমরা সবাই মিলে র‍্যাগিং কে না বলি এবং এই কালচার এর বিরুদ্ধে অবস্থান করি।র‍্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ।আমরা কখনও অন্যকে র‍্যাগ দিব না এবং র‍্যাগিং এর স্বীকার হলে সেটার বিরুদ্ধে অবস্থান করব।

প্রিয় HSC-20 ব্যচের শিক্ষার্থীরা, তোমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন মাত্র শুরু হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে যদি র‍্যাগিং এর স্বীকার হও তাহলে বিষয়টি মেনে নিবে না বরং এর বিরুদ্ধে অবস্থান করবে।র‍্যাগিং এর স্বীকার হলে প্রশাসনকে জানাতে হবে।লিখিতভাবে তোমার ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান স্যারকে জানাবে।সম্ভব হলে এর কোন প্রমাণ সংগ্রহ করে বিস্তারিত অনলাইনে জানাবে এবং আমাদের জানাবে।র‍্যাগিং এর ফলে তোমাদের মানসিক সমস্যা তৈরী হবে,তাই এই প্রথা বন্ধ করতে তোমরা দাঁড়াতে হবে।

HSC-20 ব্যাচের শিক্ষার্থীরা র‍্যাগিং থেকে দূরে থাকবে,বড় হয়ে কখনও ছোটদের র‍্যাগ দিবে না।র‍্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ।মনে রাখবে,প্রতিটি অপরাধের সাজা পেতে হবে।তাই, আমরা প্রত্যাশা রাখব,অন্তত ২০ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পরবর্তিতে এই প্রথা থেকে দূরে থাকবে।

সবার জন্য শুভকামনা।

Categories